মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা ২০২৪ প্রসেসিং এবং আবেদন করুন সহজে | Malaysia Tourist Visa Process
আসসালামু আলাইকুম!
অন্যতম শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি দেশ। সুতরাং কোন মানুষ যদি ইচ্ছুক হয়ে থাকে মালয়েশিয়া হতে পারে তার জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি গন্তব্য। এক্ষেত্রে বাংলাদেশীরা ধরনের ভিসা পেয়ে থাকে। তআর মধ্যে অন্যতম হলো
টুরিস্ট ভিসা (ঘুরতে/বেড়াতে যাওয়ার জন্য)
মেডিকেল ভিসা (চিকিতসা করানোর জন্য)
বিজনেস ভিসা (ব্যবসায়িক কারণে যাওয়ার জন্য)
ট্রাঞ্জিট ভিসা (অন্যকোনো দেশে যাওয়ার সময় ভারতকে ট্রাঞ্জিট হিসেবে ব্যবহার করার জন্য)
স্টুডেন্ট ভিসা (ইন্ডিয়া/ভারতে পড়াশোনা করার জন্য)
এই সমস্ত ভিসার যেকোনো একটি আপনার কাছে থাকলে আপনি মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে।
যেহেতু মালয়েশিয়া একটি উন্নত রাষ্ট্র আপনি মালেশিয়ার ভিসা পেতে গেলে পূর্বে অন্য কোন কান্ট্রিতে ভ্রমণ থাকতে হবে। তাহলে আপনি সহজে এবং নিশ্চিন্তে মালয়েশিয়ার ভিসা পাবেন। অন্যথায় মালোশিয়ার ভিসা পেতে গেলে আপনার ভিসা এপ্লিকেশন রিজেক্টও হতে পারে। তবে আপনি যদি আপনার প্রপার ডকুমেন্টেশন দেখাতে পারেন এবং প্রমাণ করতে পারেন যে আপনি একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ তখন আপনার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
মালয়েশিয়ার ভিসা পেতে গেলে আপনার কিছু কাগজপত্র বা প্রমাণাদি ভিসা আবেদনের সময় দেখাতে হবে। আমরা এই কাগজপত্রগুলোকে চার ভাগে বিভক্ত করব। সুতরাং এখানে আপনি জানতে পারবেন মালয়েশিয়ার ভিসা করতে গেলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন।
তবে যেকোনো ভিসা করতে গেলে আপনার কিছু ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র লাগবে।
লিগ্যাল কমন ডকুমেন্ট/পরিচয় পত্রের কাগজপত্র
পেশাগত প্রমাণ
আর্থিক প্রমাণ
অন্যান্য কাগজপত্র
১. লিগ্যাল ও সবার জন্য কমন ডকুমেন্ট
পাসপোর্ট (মিনিমাম ৬ মাস মেয়াদ, ২টা খালি পাতা)
এনআইডি কার্ড
ফটো (৫০mm X ৩৫mm সাইজ)
২. পেশগত প্রমাণ
ব্যাবসায়ী হলে
ট্রেড লাইসেন্স
ভিজিটিং কার্ড
কোম্পানী ডকুমেন্ট (মেমোরেন্ডাম, ফরম ১২ ইত্যাদি)
চাকরীজীবী হলে
NOC/এনওসি (No Objection Certificate)
ভিজিটিং কার্ড
স্যালারি সার্টিফিকেট
ছাত্র হলে
স্টুডেন্ট আইডি কার্ড
প্রত্যয়নপত্র
প্রতিষ্ঠান খোলা অবস্থায় হলে ছুটির মঞ্জরীপত্র
ডাক্তার হলে
হাসপাতালের এন ও সি
বিএমডিসির সার্টিফিকেট
আইনজীবী হলে
বার কাউন্সিলের সার্টিফিকেট
ল ফার্মের এন ও সি
৩. আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (৬মাসের)
একা হলে সর্বনিম্ন ৬০০০০, পরিবারসহ হলে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার
ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট
ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ক্ষেত্রে আপনাদের জন্য একটি পরামর্শ হলো, অন্ততপক্ষে সর্বনিম্ন ছয় মাসের ব্যাগ স্টেটমেন্ট দেখাবেন। তবে মাত্র ভিসা উপলক্ষে সাউন্ড এ কয়েক লক্ষ টাকা ডিপোজিট করে স্টেটমেন্ট তোলাটা সমীচীন নয়। কেননা স্টেটমেন্ট এর ক্ষেত্রে সকল দেশের ভিসা কনসোলাররা পছন্দ করেন যেই স্টেটমেন্টে প্রতিমাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ টা ট্রানজেকশন থাকে। পাশাপাশি আপনারা ব্যাংক সলভেন্সিও দেখাবেন। ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেটে আপনার নাম এবং একাউন্টে জমাকৃত অর্থের উল্লেখ থাকবে।
৪. অন্যান্য কাগজপত্র
এয়ার টিকেট রিজার্ভেশন
হোটেল বুকিং
অন্যান্য ভিসা
ইনভাইটেশন
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য সাধারণত খরচ বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভর করে, যেমন ভিসার ধরন, প্রক্রিয়ার সময়কাল, এবং এজেন্সির ফি। তবে, মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার ফি সাধারণত ২০ থেকে ৩০ মার্কিন ডলার (প্রায় ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা) হতে পারে।
অন্যান্য খরচ যেমন ভিসা প্রসেসিং ফি, এজেন্সি ফি, এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহের খরচও বিবেচনা করতে হবে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা চেক
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার স্ট্যাটাস চেক করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। অনলাইনে আপনার ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি জানতে চাইলে আপনি নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
অনলাইনে প্রবেশ করুন: মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা যেখানে আপনি আবেদন করেছিলেন সেই নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করুন।
ট্র্যাকিং সেকশন খুঁজুন: ওয়েবসাইটের মেনুতে বা হোমপেজে "Visa Status", "Application Tracking" বা এ জাতীয় কোনো সেকশন খুঁজে বের করুন।
প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন: সাধারণত আপনার আবেদন নম্বর বা পাসপোর্ট নম্বর দিতে হবে। সেই অনুযায়ী তথ্য পূরণ করে সাবমিট করুন।
স্ট্যাটাস দেখুন: আপনার আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন আছে কি না, অনুমোদিত হয়েছে কি না বা অন্য কোনো স্ট্যাটাস আছে কি না তা এখানে দেখতে পারবেন।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। ভিসার মেয়াদ নির্ভর করে মালয়েশিয়ার দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সিদ্ধান্তের ওপর। আপনি ভিসা আবেদনের সময় ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং সময়কাল উল্লেখ করলে, দূতাবাস সেই অনুযায়ী মেয়াদ নির্ধারণ করে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশ ত্যাগ করতে হবে এবং যদি ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, তবে সেটা মালয়েশিয়ার অভিবাসন দপ্তরে আবেদন করে করতে হবে। তবে, সব ক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি পাওয়া যায় না।
মালয়েশিয়ায় ভিসার মেয়াদ শেষ হলে এবং আপনি অতিরিক্ত সময় থাকলে, এটি আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে এবং জরিমানা বা অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করতে হতে পারে।
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা করতে গিয়ে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াতে যদি কোন কিছু না বুঝেন, তাহলে অবশ্যই রওজা ট্রাভেলস লিমিটেড এর সাথে যোগাযো9গ করবেন। কেননা ভিসা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সহায়তা করতে রওজা ট্রাভেলস লিমিটেড সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়াও বিস্তারিত জানতে আমাদের এই ভিডিওটি কিভাবে দেখুন। কেননা এই ভিডিও দেখার মাধ্যমে আপনি সরাসরি আমাদের কাছ থেকে টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আপনি খুব সহজেই রওজা ট্রাভেলস লিমিটেডের কাছ থেকে ভিসা বা ট্রাভেল সম্পর্কিত যেকোনো সহযোগিতা পাবেন ইনশাআল্লাহ।
সৌদি আরব, ইন্ডিয়া, নেপাল, দুবাই, কাতার, ওমান, ইতালি, রোমানিয়া, সার্বিয়া, মাল্টাসহ সকল দেশের টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, মেডিকেল ভিসা প্রসেসিং এর নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান রওজা ট্রাভেলস লিমিটেড।